মনির আহমদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কক্সবাজার শহর থেকে ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিদারুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা একটি অভিযোগ দুদক কর্মকর্তাদের
তদন্তকালে সাক্ষীর ওপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটনকে আটক হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে একই মামলায় বেলাল নামের আরো এক যুবককে আটক করেছিল পুলিশ । আটক ইউপি চেয়ারম্যানকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক শরিফ উদ্দিন বলেন, ৪০ লাখ টাকা ঘুষ, দুর্নীতি, নিরহ লোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও দখলদারের পক্ষ নেয়াসহ নানা অভিযোগে হাইকোর্টে
‘কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ফেরদৌস, এসআই জয়নাল আবেদীন, এএসআই স্বজল দাশ’র বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন কুতুবদিয়ার মনোয়ার ইসলাম মুকুল নামের এক ব্যক্তি। ওই মামলার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)চট্টগ্রাম এর উপ-সহকারি পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কুতুবদিয়া যান। এ সময় তদন্তের এক পর্যায়ে দায়ের করা পিটিশনের সাক্ষীদের সদর উপজেলায় আসার জন্য অনুরোধ করেন দুদকের প্রতিনিধিদল।
এ খবর পেয়ে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে সাক্ষীদের বেধড়ক মারধর করে অপহরণের চেষ্টা চালায়। পরে দুদকের হস্তক্ষেপে আহতদের রক্ষাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একইভাবে দুদকের নির্দেশে কুতুবদিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে মামলা নেয়ার জন্য কুতুবদিয়া থানাকে নির্দেশ দেন দুদক প্রতিনিধিদল। ওই মামলায় বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন আটক করা হয়।
পাঠকের মতামত: